জ্ঞানী কখনো ক্ষমতার পেছনে ছুটে না;
এজন্যই সে প্রকৃত ক্ষমতাবান।
সাধারণ মানুষ ক্ষমতার জন্য ব্যাকুল
এজন্যই তারা তা পায় না।
জ্ঞানী কিছুই করে না,
আবার কিছু অসম্পূর্ণও রাখে না।
সাধারণ মানুষ সব সময়ই কিছু না কিছু করে,
আর অধিকাংশ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে যায়।
এক ধরণের মানুষ আছে যারা দয়ালু, তারা কিছু কাজ করে
আর কিছু অসম্পূর্ণ রেখে যায়
আর এক ধরনের মানুষ, বলা যায় শুধুই মানুষ, এরা সামান্য কাজই করে
বাকি সব রেখে যায় অসম্পূর্ণ।
আর এক দল মানুষ, নৈতিক মানুষ, তারা কিছু কাজ করে
যখন কেউ এতে সাড়া দেয় না
তখন তারা গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নামে।
যখন মহান পথ হারিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় ধর্ম
যখন ধর্ম বিলীন হয়, সৃষ্টি হয় নৈতিকতা
যখন নৈতিকতা শেষ হয়ে যায়, মানুষ মেতে উঠে ধর্মীয় উৎসবে
ধর্মীয় উৎসব হল প্রকৃত বিশ্বাসের আবর্জনা,
এ থেকেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।
জ্ঞানী নিজের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখে
বাহ্যিক নয়, আত্মিক,
কথার নয়, কাজের ।
তার নিজের জন্য কোন ইচ্ছা নেই
সে বাস্তবতায় বাস করে,
সকল বিভ্রান্তি থেকে দূরে।
০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৫৯
সারমর্ম: (অনুবাদক যেমন বুঝেছেন)
যারা লোভহীন, আত্মত্যাগী, নিজের মত সকলকে ভালোবাসে, তাকেই সবাই শ্রদ্ধা করে আর ভালোবাসে, সেই প্রকৃত ক্ষমতাবান, সে যা করতে চায় তাই করে, তার মন শান্ত এবং স্থির, কোন কাজে হাত দিয়ে মাঝপথে থেমে যায় না। সবার জন্য এই পথ, মহান পথ, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই পথের বিস্তৃতি, সবার জন্য আদর্শ পথ, এই পথ অনুসরণে মিলে প্রশান্তি, মানুষ যখন এই পথ থেকে দূরে সরে যায় তখন তারা ধর্ম তৈরী করে সেখানে শান্তির খোঁজ করে, আর যখন কালের বিবর্তনে ধর্মও বিলীন হবার পথে তখন মানুষ নিজের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নৈতিকতা তৈরী করে সেই পথে চলে, আর যখন সমাজে নৈতিকতাও থাকেনা, তখন মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আনন্দের উপকরণ খুঁজে, ধর্মের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় ধর্মের নামে উৎসব. অনুষ্ঠান, যার সাথে ধর্মের সম্পর্ক অনেক কম, তখন মানুষের মাঝে আরো বিভেদ সৃষ্টি হয়, একেক দল একেক রকম মতবাদ দেয়, আর এ থেকেই সমাজে নেমে আসে বিশৃঙ্খলা।
প্রাচীন চৈনিক দর্শন যা পরবর্তীতে ধর্মে পরিণত হয়। যতদূর জানা যায় লাওজি(Laozi) নামক দার্শনিক খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এটা রচনা করেছিলেন। আমার সীমিত জ্ঞানের কারণে ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে হচ্ছে, তবে মজার বিষয় হল আমি বেশ কিছু অনুবাদ পড়েছি, প্রত্যেকটি নিজস্ব তেজে মহীয়ান। যদিও মূল সুর প্রায় একই। মোট ৮১টি পদ্যের সমন্বয়ে বইটি গঠিত। সাধ্যমত চেষ্টা করা হয়েছে ভাবানুবাদের প্রাঞ্জলতা ধরে রাখার। প্রচেষ্টা কতটুকু স্বার্থক হয়েছে তা পাঠক ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না!
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
সম্পূর্ন বই ডাউনলোড করতে..
তাও তে চিং (মহান পথ..), চীনের প্রসিদ্ধ ধর্ম তাওবাদ-ধর্ম কিংবা তাওবাদ দর্শনের সূচনা এখান থেকেই। বইয়ের মূল লেখক হিসেবে ধারণা করা হয় লাওজি/লাও...
-
তাও তে চিং (মহান পথ..), চীনের প্রসিদ্ধ ধর্ম তাওবাদ-ধর্ম কিংবা তাওবাদ দর্শনের সূচনা এখান থেকেই। বইয়ের মূল লেখক হিসেবে ধারণা করা হয় লাওজি/লাও...
-
সত্য বাক্যে থাকে না মনের মাধুরী, মিথ্যা বাক্য করে শব্দের বাহাদুরী। জ্ঞানীরা কখনো খুঁজে না অন্যের দোষ, যারা দোষ খুঁজে তারা জ্ঞানী নয়, ভণ্...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন