তাও তে চিং (মহান পথ..), চীনের প্রসিদ্ধ ধর্ম তাওবাদ-ধর্ম কিংবা তাওবাদ দর্শনের সূচনা এখান থেকেই। বইয়ের মূল লেখক হিসেবে ধারণা করা হয় লাওজি/লাও ৎসু (Laozi (Lao Tsu, Lao-Tze)) নামের কোন এক জ্ঞানী মহাপুরুষকে। চৈনিক ভাষায় লাওজি শব্দের অর্থ 'জ্ঞানী বৃদ্ধ' (Old Master), তার জন্ম, নাম, আসলেই তিনি ছিলেন নাকি পুরোটাই কল্পনা, এগুলো নিয়ে আজো জল্পনা হচ্ছে, কোন কোন ইতিহাসবিদের মতে তিনি খ্রিস্ট্রপূর্ব ৬০০ শতকের আবার কারো কারো মতে খ্রিষ্ট্রপূর্ব ২০০ শতকের; আবার কারো কারো মতে লাওজি শুধু একক ব্যক্তির নাম নয়, অসংখ্য জ্ঞানী মহাপুরুষদের সম্মিলিত নাম। যাহোক, এসব আসলে ইতিহাসের ব্যাপার, এর সাথে বইটির তেমন কোন সম্পর্ক নেই, যখন এটি পড়ি তখন অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, এত সুন্দর, এত মাধুর্যতাময় বিষয় অথচ বাংলা ভাষায় সহজলভ্য তো নয় ই, তারপরেও যে তিনটি অনুবাদ রয়েছে (দুইটি বই পড়ার সুযোগ হয়েছিল আমার), হেলাল উদ্দিন আহমেদের লেখা, "প্রাচীন চীনা দর্শন- লাওসি ও কনফুসিয়াস" এবং সরকার আমিনের লেখা "তাও তে চিং (সহজিয়া পথ)"। বইগুলো পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি, মনে হয়েছে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না, তাই ইংরেজি অনুবাদ গুলো পড়া শুরু করলাম, সেখান থেকে প্রায় ৮টির মত অনুবাদ পড়ে ফেলি, অবাক হতে হয় প্রতিটি ক্ষেত্রে, মূল সুর প্রায় এক থাকলেও একেক বইয়ে পটভূমি একেক রকমের, ভাষাগত ছন্দও আলাদা, এখন আমার অনুবাদের বিষয়ে কিছু কথা বলা যাক, ইংরেজি অনুবাদ বইগুলো পড়ে মনে হল বাংলাভাষায়ও আরো অনুবাদ থাকা প্রয়োজন, এমন বই অবশ্যই জীবনে অন্তত একবার হলেও পড়া প্রয়োজন, তাওবাদের প্রতিটি কথাতে যেন জীবনের অভ্যন্তরের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে, প্রতিবাদ হয়েছে সমগ্র কতৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার, বলা হয়েছে ভালবাসার কথা, জীবনের পথের কথা, সেই মহান পথ, যে পথ জীবনকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়, যেখানে থাকে না কোন ঘৃণা, থাকে না লোভ। সমগ্র মানবজাতির জন্য যেন উপহার স্বরূপ একটি বই। এটিতে মোট ৮১ টি পদ্য রয়েছে। সমগ্র বই জুড়েই এক অদ্ভুত দ্বৈত অস্তিত্বের দেখা পাওয়া যায়, যেমন, আলো-আঁধার, পূর্ণ-অপূর্ণ, শূন্য-অশূন্য, মন্দ-ভাল, ন্যায়-অন্যায়, আসলে প্রত্যেকেই যেন একে অপরের পরিপূরক। একটি না থাকলে যেন আরেকটির অস্তিত্ব থাকে না।
একেতো দর্শন, তার উপর পদ্যের ছন্দময়তা, এবিষয় দুটো অনুবাদ করা তুলনামূলক জটিল, এবং সময় সাপেক্ষ। তাই বেশ সময় নিয়েই কাজটি শেষ করলাম। অনেকগুলো বইয়ের ভিড় থেকে তিনজন অনুবাদকের বই বেছে নিয়েছিলাম, "Jonathan Star", "Stephen. Mitchell" এবং Northfield Buddhist Meditation Center এর ইংরেজি অনুবাদ; সবই অনলাইনে সহজলভ্য এবং বিনামূল্যে সংগ্রহ করেছিলাম, এছাড়াও অনলাইনে বেশ কিছু বই এবং ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হয়েছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে শুরু করি, টানা ৭৬ টি অনুবাদ করার পর পড়াশোনায় মনযোগ দিতে থামতে হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পেপার জমা দেবার পরেই আবার ভাবতে বসি অসমাপ্ত কাজটুকু নিয়ে, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ এ কাজটি সম্পন্ন করি।
যেহেতু নিতান্ত ভাষার প্রতি ভালবাসা থেকে কাজটি করা, তাছাড়া নিজেরও পছন্দ ছিল, যদি ভাল লাগে কিংবা খারাপ লাগে তাহলে নিশ্চয়ই পরামর্শ পাওয়া থেকে আমায় বঞ্চিত করবেন না
আপনারা। তাছাড়া অনুবাদে যদি ভুল থেকে থাকে আমাকে জানালে অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবো।
সম্পূর্ণ বইয়ের পিডিএফ: গুগল ড্রাইভ লিঙ্ক
পরামর্শ এবং যোগাযোগ
ফেসবুক: www.facebook.com/samuktadir
ইমেইল: s.samrat22@gmail.com
ব্লগ: taotechingbangla.blogspot.com
একেতো দর্শন, তার উপর পদ্যের ছন্দময়তা, এবিষয় দুটো অনুবাদ করা তুলনামূলক জটিল, এবং সময় সাপেক্ষ। তাই বেশ সময় নিয়েই কাজটি শেষ করলাম। অনেকগুলো বইয়ের ভিড় থেকে তিনজন অনুবাদকের বই বেছে নিয়েছিলাম, "Jonathan Star", "Stephen. Mitchell" এবং Northfield Buddhist Meditation Center এর ইংরেজি অনুবাদ; সবই অনলাইনে সহজলভ্য এবং বিনামূল্যে সংগ্রহ করেছিলাম, এছাড়াও অনলাইনে বেশ কিছু বই এবং ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হয়েছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে শুরু করি, টানা ৭৬ টি অনুবাদ করার পর পড়াশোনায় মনযোগ দিতে থামতে হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পেপার জমা দেবার পরেই আবার ভাবতে বসি অসমাপ্ত কাজটুকু নিয়ে, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ এ কাজটি সম্পন্ন করি।
যেহেতু নিতান্ত ভাষার প্রতি ভালবাসা থেকে কাজটি করা, তাছাড়া নিজেরও পছন্দ ছিল, যদি ভাল লাগে কিংবা খারাপ লাগে তাহলে নিশ্চয়ই পরামর্শ পাওয়া থেকে আমায় বঞ্চিত করবেন না
আপনারা। তাছাড়া অনুবাদে যদি ভুল থেকে থাকে আমাকে জানালে অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবো।
সম্পূর্ণ বইয়ের পিডিএফ: গুগল ড্রাইভ লিঙ্ক
পরামর্শ এবং যোগাযোগ
ফেসবুক: www.facebook.com/samuktadir
ইমেইল: s.samrat22@gmail.com
ব্লগ: taotechingbangla.blogspot.com