পরিমিত কথা বল।
নিজের মতই বাঁচতে শেখো।
সমস্ত সকাল জুড়েই স্নিগ্ধ বাতাস বয় না।
আবার সারাটা দিন আঁধারে হারায় না।
সব সময়ই বৃষ্টি ঝরে না।
সারাটা দুপুর সূর্যও মাঝ আকাশে থাকে না।
যদি মহান পথের মাঝে নিজেকে সঁপে দাও,
তবে তুমিও সে পথের একজন হবে।
তখন বুঝতে পুরোপুরি বুঝবে এর রহস্য।
যদি মনের দৃষ্টিতে নিজেকে দেখো।
তবেই নিজেকে বুঝতে পারবে।
আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে পুরোপুরি।
যদি সর্বনাশের কাছে নিজেকে সঁপে দাও,
তোমার সর্বনাশই হবে।
মেনে নেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না।
মহান পথকে হৃদয়ে দিয়ে অনুভব করো।
মন কি বলে তা শোন।
সকল কিছু সঠিক ভাবেই চলবে।
১৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:১৬
প্রাচীন চৈনিক দর্শন যা পরবর্তীতে ধর্মে পরিণত হয়। যতদূর জানা যায় লাওজি(Laozi) নামক দার্শনিক খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এটা রচনা করেছিলেন। আমার সীমিত জ্ঞানের কারণে ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে হচ্ছে, তবে মজার বিষয় হল আমি বেশ কিছু অনুবাদ পড়েছি, প্রত্যেকটি নিজস্ব তেজে মহীয়ান। যদিও মূল সুর প্রায় একই। মোট ৮১টি পদ্যের সমন্বয়ে বইটি গঠিত। সাধ্যমত চেষ্টা করা হয়েছে ভাবানুবাদের প্রাঞ্জলতা ধরে রাখার। প্রচেষ্টা কতটুকু স্বার্থক হয়েছে তা পাঠক ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না!
শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯
পদ্য - ২২
"মনকে সঁপে দিলেই পরিপূর্ণতা পাওয়া যায়"
বাঁকাই হতে পারে সোজা।
শূন্যতাই হতে পারে পূর্ণ।
পুরাতন ই হতে পারে নতুন।
অল্প কিছুই হতে পারে বেশি।
জ্ঞানী মহান পথের মাঝেই বাস করে,
ভাবে সকলের ভালো,
কেউ দেখে না তাকে,
দেখে তারই আলো।
তার নিজেকে নতুন করে প্রমাণের কিছু নেই
মানুষ তার কথা বিশ্বাস করে
কারণ তারা তাকে না জানলেও তার অস্তিত্বকে জানে
নিজের মাঝেই তাকে অনুভব করে।
জ্ঞানী মনকে ঘাটায় না, তার সাথে মিশে থাকে
সে সব কিছুতেই সফল।
প্রাচীণ জ্ঞানী বলেছিলেন, "মনকে সঁপে দিলেই পরিপূর্ণতা পাওয়া যায়",
এটা শুধু কথার কথা নয়।
"মনকে সঁপে দিলেই পরিপূর্ণতা পাওয়া যায়"
আর পরিপূর্ণতা তৃপ্ত করে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড।
১৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৫৯
বাঁকাই হতে পারে সোজা।
শূন্যতাই হতে পারে পূর্ণ।
পুরাতন ই হতে পারে নতুন।
অল্প কিছুই হতে পারে বেশি।
জ্ঞানী মহান পথের মাঝেই বাস করে,
ভাবে সকলের ভালো,
কেউ দেখে না তাকে,
দেখে তারই আলো।
তার নিজেকে নতুন করে প্রমাণের কিছু নেই
মানুষ তার কথা বিশ্বাস করে
কারণ তারা তাকে না জানলেও তার অস্তিত্বকে জানে
নিজের মাঝেই তাকে অনুভব করে।
জ্ঞানী মনকে ঘাটায় না, তার সাথে মিশে থাকে
সে সব কিছুতেই সফল।
প্রাচীণ জ্ঞানী বলেছিলেন, "মনকে সঁপে দিলেই পরিপূর্ণতা পাওয়া যায়",
এটা শুধু কথার কথা নয়।
"মনকে সঁপে দিলেই পরিপূর্ণতা পাওয়া যায়"
আর পরিপূর্ণতা তৃপ্ত করে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড।
১৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৫৯
পদ্য - ২১
নিঁখুত কাজের মানসিকতা,
অশেষ পূন্য,
আর সর্বোচ্চ ক্ষমতা
যারা সঠিক ভাবে এই পথ অনুসরণ করে
তাদেরই জন্য।
যদিও এর নিজের কোন গড়ন নেই
কিন্তু গড়তে পারে।
এর নিজের কোন আকার নেই।
কিন্তু আকারে আনতে জানে।
যদিও আঁধার আর শূন্যতায় ভরা,
এর প্রাণশক্তি সকল সৃষ্টিকে চালনা করে।
প্রশ্ন করতে পারো, "এটা কি সত্যি?"
আমি বলবো, "সকল সৃষ্টির দিকে তাকাও"।
সৃষ্টির প্রথম মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত এর অস্তিত্ব।
মহাবিশ্বের সাথে নিজেকে মিশিয়ে দেবার পথই এটা,।
সত্য না মিথ্যা কিভাবে বুঝতে পারি?
আমি নিজের মনের দিকে তাকাই, আর দেখি।
১৫ অক্টোবর ২০১৮ ২০:১৪
অশেষ পূন্য,
আর সর্বোচ্চ ক্ষমতা
যারা সঠিক ভাবে এই পথ অনুসরণ করে
তাদেরই জন্য।
যদিও এর নিজের কোন গড়ন নেই
কিন্তু গড়তে পারে।
এর নিজের কোন আকার নেই।
কিন্তু আকারে আনতে জানে।
যদিও আঁধার আর শূন্যতায় ভরা,
এর প্রাণশক্তি সকল সৃষ্টিকে চালনা করে।
প্রশ্ন করতে পারো, "এটা কি সত্যি?"
আমি বলবো, "সকল সৃষ্টির দিকে তাকাও"।
সৃষ্টির প্রথম মুহূর্ত থেকে এখন পর্যন্ত এর অস্তিত্ব।
মহাবিশ্বের সাথে নিজেকে মিশিয়ে দেবার পথই এটা,।
সত্য না মিথ্যা কিভাবে বুঝতে পারি?
আমি নিজের মনের দিকে তাকাই, আর দেখি।
১৫ অক্টোবর ২০১৮ ২০:১৪
শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
পদ্য - ২০
দুশ্চিন্তা বন্ধ করো আর সমস্যা সমাধানে লেগে যাও
"হ্যাঁ" আর "না" এর মাঝে পার্থক্য কতটুক?
"সফলতা" আর "ব্যার্থতার" মাঝেই বা তফাত কি?
সবাই যা ভাল ভাবে অবশ্যই তার মূল্যায়ন করতে হবে।
আর সবাই যা এড়িয়ে যায় তা থেকে দূরে থাকতে হবে?
কথাটা হাস্যকর!
অন্যেরা যখন হতাশা নিয়ে দলে দলে মৃত্যুর দিকে যায়,
আমি একাই ভাবনা মুক্ত।
সদ্য জন্মানো শিশুর মত, নির্বিকার।
যখন তাদের প্রয়োজনীয় সকল কিছুই থাকে,
একজন সবহারা মানুষের মত আমার কিছুই নেই।
একজন মূর্খের মত, মন জুড়ে অপার শূন্যতা।
অন্যেরা হাঁটে আলোর পথে,
আমি একাই চলি আঁধারের রথে।
তারা বুদ্ধিতে পাকা,
আমি জানি আমার ভেতরটা ফাঁকা।
অন্যদের জীবন উদ্দেশ্যের পথে যায়,
আমার জীবন যেন মহাসাগরের শান্ত স্রোত,
বাতাসের মত উদ্দেশ্যহীন পথে দিক হারায়।
আমি সর্ব সাধারণ থেকে আলাদা, ব্যাতিক্রম,
মহান শক্তির আশীর্বাদে পূর্ণ হৃদয়।
এগিয়ে যায়, সকল বাঁধাকে করে অতিক্রম।
১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৫
"হ্যাঁ" আর "না" এর মাঝে পার্থক্য কতটুক?
"সফলতা" আর "ব্যার্থতার" মাঝেই বা তফাত কি?
সবাই যা ভাল ভাবে অবশ্যই তার মূল্যায়ন করতে হবে।
আর সবাই যা এড়িয়ে যায় তা থেকে দূরে থাকতে হবে?
কথাটা হাস্যকর!
অন্যেরা যখন হতাশা নিয়ে দলে দলে মৃত্যুর দিকে যায়,
আমি একাই ভাবনা মুক্ত।
সদ্য জন্মানো শিশুর মত, নির্বিকার।
যখন তাদের প্রয়োজনীয় সকল কিছুই থাকে,
একজন সবহারা মানুষের মত আমার কিছুই নেই।
একজন মূর্খের মত, মন জুড়ে অপার শূন্যতা।
অন্যেরা হাঁটে আলোর পথে,
আমি একাই চলি আঁধারের রথে।
তারা বুদ্ধিতে পাকা,
আমি জানি আমার ভেতরটা ফাঁকা।
অন্যদের জীবন উদ্দেশ্যের পথে যায়,
আমার জীবন যেন মহাসাগরের শান্ত স্রোত,
বাতাসের মত উদ্দেশ্যহীন পথে দিক হারায়।
আমি সর্ব সাধারণ থেকে আলাদা, ব্যাতিক্রম,
মহান শক্তির আশীর্বাদে পূর্ণ হৃদয়।
এগিয়ে যায়, সকল বাঁধাকে করে অতিক্রম।
১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৫
পদ্য - ১৯
জ্ঞান ও পবিত্রতা ছুড়ে ফেলো,
মানুষ একশ গুণ সুখী থাকবে।
ন্যায়-নৈতিকতা ছুড়ে ফেলো,
মানুষ সঠিক কাজই করবে।
কল-কারখানা আর লাভ কে হঠাও,
চুরির ভয় থাকবেই না।
যদি এই তিনটি কাজ করতে না পারো,
তবে নিজের মাঝে থাকো।
আর যার যা কাজ তাকে তাই করতে দাও।
১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৮
মানুষ একশ গুণ সুখী থাকবে।
ন্যায়-নৈতিকতা ছুড়ে ফেলো,
মানুষ সঠিক কাজই করবে।
কল-কারখানা আর লাভ কে হঠাও,
চুরির ভয় থাকবেই না।
যদি এই তিনটি কাজ করতে না পারো,
তবে নিজের মাঝে থাকো।
আর যার যা কাজ তাকে তাই করতে দাও।
১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৮
পদ্য - ১৮
যখন মহান পথ বিস্মৃতির অতলে তলায়,
জেগে উঠে শ্রদ্ধা ও ভক্তি।
যখন দেহ তার শক্তি হারায়,
বেড়ে যায় চতুরতা, জ্ঞান ও বুদ্ধি।
যখন স্বামী-স্ত্রীতে লেগে থাকে অশান্তি, খুনসুটি,
তখন ভালবাসা বেড়ে যায় সন্তানের প্রতি।
যখন দেশের বুকে নেমে আশে বিশৃঙ্খলা
তখন জন্ম নেয় দেশপ্রেম, শুরু হয় নব উদ্যোমে পথচলা।
০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২১
জেগে উঠে শ্রদ্ধা ও ভক্তি।
যখন দেহ তার শক্তি হারায়,
বেড়ে যায় চতুরতা, জ্ঞান ও বুদ্ধি।
যখন স্বামী-স্ত্রীতে লেগে থাকে অশান্তি, খুনসুটি,
তখন ভালবাসা বেড়ে যায় সন্তানের প্রতি।
যখন দেশের বুকে নেমে আশে বিশৃঙ্খলা
তখন জন্ম নেয় দেশপ্রেম, শুরু হয় নব উদ্যোমে পথচলা।
০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২১
পদ্য - ১৭
যখন জ্ঞানী সবাইকে পরিচালনা করে,
মানুষ কদাচিৎ তার উপস্থিতি বুঝতে পারে।
তিনি যোগ্য নেতা যাকে সবাই ভালবাসে।
এরপর তার স্থান যাকে সবাই ভয় পায়।
আর সবচেয়ে বাজে হল যাকে কেউ মানেনা।
যদি মানুষদের বিশ্বাস না কর,
তারাও তোমায় অবিশ্বাস করবে।
জ্ঞানী কথার ফুলঝুরি ছোটায় না, কাজ করে।
যখন কাজ শেষ হয়,
মানুষ বলে, "কি দারুণ ভাবেই না কাজটি করলাম!"
০৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:২৪
মানুষ কদাচিৎ তার উপস্থিতি বুঝতে পারে।
তিনি যোগ্য নেতা যাকে সবাই ভালবাসে।
এরপর তার স্থান যাকে সবাই ভয় পায়।
আর সবচেয়ে বাজে হল যাকে কেউ মানেনা।
যদি মানুষদের বিশ্বাস না কর,
তারাও তোমায় অবিশ্বাস করবে।
জ্ঞানী কথার ফুলঝুরি ছোটায় না, কাজ করে।
যখন কাজ শেষ হয়,
মানুষ বলে, "কি দারুণ ভাবেই না কাজটি করলাম!"
০৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:২৪
পদ্য - ১৬
মন থেকে সকল দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলো।
হৃদয়কে শান্তিতে থাকতে দাও।
চেয়ে দেখো অশান্তি কিভাবে শুরু হয়,
আবার সব ফিরে যায় শূন্যতায়।
মহাবিশ্বের প্রত্যেক সৃষ্টি
ফিরে তার আপন ডেরায়।
যেখান থেকে এসেছিল, সেই ঠিকানায়।
তুমি যদি তোমার উৎস কী তাই না জানো
দুঃখ আর হতাশা বয়ে বেড়াতে হবে।
যখন জানবে কোথা হতে এসেছো,
তখন সকল রহস্য উন্মুক্ত হবে।
হৃদয় হবে প্রশান্তিময়।
মহান পথের মাঝে নিজেকে চালনা করো,
খুঁজে পাবে জীবনের সকল পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায়।
আর যখন মৃত্যু এসে দুয়ারে দাঁড়াবে, তুমি থাকবে প্রস্তুত।
০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৫৯
হৃদয়কে শান্তিতে থাকতে দাও।
চেয়ে দেখো অশান্তি কিভাবে শুরু হয়,
আবার সব ফিরে যায় শূন্যতায়।
মহাবিশ্বের প্রত্যেক সৃষ্টি
ফিরে তার আপন ডেরায়।
যেখান থেকে এসেছিল, সেই ঠিকানায়।
তুমি যদি তোমার উৎস কী তাই না জানো
দুঃখ আর হতাশা বয়ে বেড়াতে হবে।
যখন জানবে কোথা হতে এসেছো,
তখন সকল রহস্য উন্মুক্ত হবে।
হৃদয় হবে প্রশান্তিময়।
মহান পথের মাঝে নিজেকে চালনা করো,
খুঁজে পাবে জীবনের সকল পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায়।
আর যখন মৃত্যু এসে দুয়ারে দাঁড়াবে, তুমি থাকবে প্রস্তুত।
০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৫৯
পদ্য - ১৫
প্রাচীণ ঋষিগণ ছিলেন সূক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী
তাদের প্রজ্ঞা ছিল অসীম
এগুলি বর্ণনা করার কোন উপায় নেই
আমরা শুধু তাদের ছোট্ট অংশ বলতে পারি
তারা ছিল খুবই সাবধান
যেমন থাকতে হয় অগ্নিশিখার উপর দিয়ে বরফের সেতু পারের সময়
তারা ছিল, শত্রুশিবিরে প্রবেশকারী যোদ্ধার মত সতর্ক
অতিথির মত বিনয়ী,
হৃদয়ে ছিল বরফ গলা প্রশান্তি,
সকল পরিবেশেই উপযোগী
উপত্যকার মত ধারণক্ষম
স্বচ্ছ জলের মত পরিষ্কার
যতক্ষণ এক গ্লাস নোংরা জল থেকে ময়লা আলাদা না হয়
পারবে কি অপেক্ষা করতে?
পারবে কি চুপচাপ সব দেখে যেতে,
যতক্ষণ না সব নিজে থেকেই ঠিক হয়?
জ্ঞানী কখনো পূর্ণতা খোঁজে না
যেমন সে খোঁজে না, তেমনি ব্যাকুলও নয়
তার কাছে সবই সমান।
০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:২৮
তাদের প্রজ্ঞা ছিল অসীম
এগুলি বর্ণনা করার কোন উপায় নেই
আমরা শুধু তাদের ছোট্ট অংশ বলতে পারি
তারা ছিল খুবই সাবধান
যেমন থাকতে হয় অগ্নিশিখার উপর দিয়ে বরফের সেতু পারের সময়
তারা ছিল, শত্রুশিবিরে প্রবেশকারী যোদ্ধার মত সতর্ক
অতিথির মত বিনয়ী,
হৃদয়ে ছিল বরফ গলা প্রশান্তি,
সকল পরিবেশেই উপযোগী
উপত্যকার মত ধারণক্ষম
স্বচ্ছ জলের মত পরিষ্কার
যতক্ষণ এক গ্লাস নোংরা জল থেকে ময়লা আলাদা না হয়
পারবে কি অপেক্ষা করতে?
পারবে কি চুপচাপ সব দেখে যেতে,
যতক্ষণ না সব নিজে থেকেই ঠিক হয়?
জ্ঞানী কখনো পূর্ণতা খোঁজে না
যেমন সে খোঁজে না, তেমনি ব্যাকুলও নয়
তার কাছে সবই সমান।
০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:২৮
পদ্য - ১৪
চোখ দেখায় কিন্তু দেখে না।
কান শোনায় কিন্তু শুনে না।
হাত স্পর্শ করে কিন্তু ছোঁয় না।
এই অনুভূতির উৎসগুলো অদৃশ্য, অশ্রবণীয়, আর অধরা
কার জন্য সমস্ত আকাশ আলোয় ভরে যায়?
কে চলে গেলে আবার সব আঁধারে হারায়?
আসলে এখানে আলো আর আঁধার বলে কিছু নেই
শুধু আলো-ছায়ার খেলা!
শূন্যতা থেকে আসে পূর্ণতায়, আবার হারিয়ে যায়
আকৃতিহীন আকার
এমন ছবি মন বুঝতে পারে না বা পারবেনা
এর মুখোমুখি হও
এজন্য কোথায় দাঁড়াবে?
অনুসরণ করার চেষ্টা কর।
এজন্য কোথায় যেতে হবে?
যখন জানবে কোথা হতে শুরু, তখনই খুঁজে পারে সব প্রশ্নের উত্তর
সময়কে জানো, তাহলেই জানতে পারবে মহান পথের নিগূঢ় রহস্য।
০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৪০
কান শোনায় কিন্তু শুনে না।
হাত স্পর্শ করে কিন্তু ছোঁয় না।
এই অনুভূতির উৎসগুলো অদৃশ্য, অশ্রবণীয়, আর অধরা
কার জন্য সমস্ত আকাশ আলোয় ভরে যায়?
কে চলে গেলে আবার সব আঁধারে হারায়?
আসলে এখানে আলো আর আঁধার বলে কিছু নেই
শুধু আলো-ছায়ার খেলা!
শূন্যতা থেকে আসে পূর্ণতায়, আবার হারিয়ে যায়
আকৃতিহীন আকার
এমন ছবি মন বুঝতে পারে না বা পারবেনা
এর মুখোমুখি হও
এজন্য কোথায় দাঁড়াবে?
অনুসরণ করার চেষ্টা কর।
এজন্য কোথায় যেতে হবে?
যখন জানবে কোথা হতে শুরু, তখনই খুঁজে পারে সব প্রশ্নের উত্তর
সময়কে জানো, তাহলেই জানতে পারবে মহান পথের নিগূঢ় রহস্য।
০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৪০
পদ্য - ১৩
সমাদর আর অপমান ভয় ডেকে আনে।
আর আত্ম-অহংকার নিজেকে ভোগায়।
কীভাবে সমাদর আর অপমান ভয় ডেকে আনে?
সমাদর বয়ে আনে অপমান।
সমাদৃত এটা হারাবার ভয়ে ভীত।
অপমানিত আরো অপমানের আশঙ্কায় ভীত।
তাই বলা যায় সমাদর আর অপমান ভয় ডেকে আনে।
কীভাবে আত্ম-অহংকার নিজেকে ভোগায়?
আমি বিষণ্ণ তখন যখন শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবি।
কিন্তু যখন আমি সমস্ত সৃষ্টির,
তখন বিষণ্ণতা কীভাবে আসবে?
তাই যে নিজের মত সকলকে শ্রদ্ধা করে
তাকে জগতের মতই বিশ্বাস করা যায়।
আর যারা নিজের মত সবার খেয়াল রাখে
তাদেরকে জগতের মতই ভালবাসা যায়।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৫
আর আত্ম-অহংকার নিজেকে ভোগায়।
কীভাবে সমাদর আর অপমান ভয় ডেকে আনে?
সমাদর বয়ে আনে অপমান।
সমাদৃত এটা হারাবার ভয়ে ভীত।
অপমানিত আরো অপমানের আশঙ্কায় ভীত।
তাই বলা যায় সমাদর আর অপমান ভয় ডেকে আনে।
কীভাবে আত্ম-অহংকার নিজেকে ভোগায়?
আমি বিষণ্ণ তখন যখন শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবি।
কিন্তু যখন আমি সমস্ত সৃষ্টির,
তখন বিষণ্ণতা কীভাবে আসবে?
তাই যে নিজের মত সকলকে শ্রদ্ধা করে
তাকে জগতের মতই বিশ্বাস করা যায়।
আর যারা নিজের মত সবার খেয়াল রাখে
তাদেরকে জগতের মতই ভালবাসা যায়।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৫
পদ্য - ১২
রঙের ঝলক চোখকে করে অন্ধ
শব্দ মিছিল কানকে করে বধির
তীব্র সুবাস নষ্ট করে স্বাদ
চিন্তার মিছিল দুর্বল করে মন
ভোগ-বাসনা ধ্বংস করে হৃদয়
জ্ঞানী সমস্ত বিশ্বকে দেখে
কিন্তু বিশ্বাস করে শুধু মনের দেখা
তার দুয়ারে সবার জন্য খোলা
তার হৃদয় আকাশের মত বিশাল।
০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫১
শব্দ মিছিল কানকে করে বধির
তীব্র সুবাস নষ্ট করে স্বাদ
চিন্তার মিছিল দুর্বল করে মন
ভোগ-বাসনা ধ্বংস করে হৃদয়
জ্ঞানী সমস্ত বিশ্বকে দেখে
কিন্তু বিশ্বাস করে শুধু মনের দেখা
তার দুয়ারে সবার জন্য খোলা
তার হৃদয় আকাশের মত বিশাল।
০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫১
পদ্য - ১১
আমরা শুধু চাকার গুনগান গাই
কিন্তু মাঝখানের শূন্যতাই চাকাকে চালায়।
কাদা-মাটি দিয়েই পাত্র বানাই
ব্যবহার করি মাঝখানের শূন্যতাই
কাঠ গেঁথে তৈরী হয় ঘর
এর শূন্যতার মাঝেই আমাদের বসবাস
আমরা অস্তিত্বের জন্যই কাজ করি
তবে অনস্তিত্বতাই ব্যবহার করি।
০৫ অক্টোবর ২০১৮ ২১:২৬
কিন্তু মাঝখানের শূন্যতাই চাকাকে চালায়।
কাদা-মাটি দিয়েই পাত্র বানাই
ব্যবহার করি মাঝখানের শূন্যতাই
কাঠ গেঁথে তৈরী হয় ঘর
এর শূন্যতার মাঝেই আমাদের বসবাস
আমরা অস্তিত্বের জন্যই কাজ করি
তবে অনস্তিত্বতাই ব্যবহার করি।
০৫ অক্টোবর ২০১৮ ২১:২৬
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯
পদ্য - ১০
বিচ্ছিন্ন বিচরণ থেকে
পারবে কি মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে?
সদ্য জন্মানো শিশুর দেহের মত
পারবে কি নিজের দেহকে নমনীয় করতে?
পারবে কি প্রসারিত করতে অন্তর্দৃষ্টি
নিজেকে দেখার আগ পর্যন্ত?
নিজের ইচ্ছে না চাপিয়ে
পারবে কি মানুষ কে ভালবাসে তাদের নেতা হতে?
মূল বিষয়ের সাথে যুক্ত হতে
পারবে কি তুমি অতি সহজেই?
নিজের মন থেকে বাইরে এসে
পারবে কি বুঝতে সকল কিছু?
সৃষ্টি করো আর তাকে যত্ন কর
চেষ্টা করোনা নিয়ন্ত্রণের
কাজ করে যাও, কিন্তু প্রত্যাশা করোনা
নেতৃত্ব দাও কিন্তু বশে আনতে যেয়ো না
এটাই সব চেয়ে বড় মহত্ব।
০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৩৯
পারবে কি মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে?
সদ্য জন্মানো শিশুর দেহের মত
পারবে কি নিজের দেহকে নমনীয় করতে?
পারবে কি প্রসারিত করতে অন্তর্দৃষ্টি
নিজেকে দেখার আগ পর্যন্ত?
নিজের ইচ্ছে না চাপিয়ে
পারবে কি মানুষ কে ভালবাসে তাদের নেতা হতে?
মূল বিষয়ের সাথে যুক্ত হতে
পারবে কি তুমি অতি সহজেই?
নিজের মন থেকে বাইরে এসে
পারবে কি বুঝতে সকল কিছু?
সৃষ্টি করো আর তাকে যত্ন কর
চেষ্টা করোনা নিয়ন্ত্রণের
কাজ করে যাও, কিন্তু প্রত্যাশা করোনা
নেতৃত্ব দাও কিন্তু বশে আনতে যেয়ো না
এটাই সব চেয়ে বড় মহত্ব।
০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৩৯
পদ্য - ৯
জবর-দখল লড়াইয়ের কোন শেষ নেই
ছুরিকে খুব বেশি ধার দিতে গেলে ক্ষয় হয়ে যায়
হীরা-মানিক দিয়ে ঘর সাজালে চোরের চোখ পড়বেই
নিজেকে অহংকার আর গর্বের চাদরে ঢেকে রাখলে পতন হবেই
যে কাজ করতে চাও পুরোপুরি কর
নিজেকে সবার জন্য উজার করে দাও
এটা স্বর্গীয়,
স্বর্গের প্রশান্তিময় পথ।
০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৫০
ছুরিকে খুব বেশি ধার দিতে গেলে ক্ষয় হয়ে যায়
হীরা-মানিক দিয়ে ঘর সাজালে চোরের চোখ পড়বেই
নিজেকে অহংকার আর গর্বের চাদরে ঢেকে রাখলে পতন হবেই
যে কাজ করতে চাও পুরোপুরি কর
নিজেকে সবার জন্য উজার করে দাও
এটা স্বর্গীয়,
স্বর্গের প্রশান্তিময় পথ।
০৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৫০
পদ্য - ৮
জীবনের সর্বোত্তম পথ জলের মত হওয়া শ্রেয়
জল সকলের উপকার করে, কারো ক্ষতি করে না
এটা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে,
আর এমন স্থান পরিচ্ছন্ন করে যা মানুষ পারে না
এই মহান পথ জলের ধারার মত।
জীবনকে প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দাও
শক্ত ভূমিতে ঘর বাঁধো
তোমার যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট হও
প্রদর্শন করো দয়া
কথা বলার সময় সত্য বলো
যখন তুমি শাসক, থাকে যেন সবার প্রতি সমান মায়া
কাজের ক্ষেত্রে লক্ষ্য স্থির করে নাও
পারিবারিক জীবনে, মনে রেখো, সময়ই সব
জীবনের ক্ষেত্রে নিজের মত বাঁচো
কখনো তুলনা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করোনা
সবাই তোমায় ভালবাসবে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১৬
জল সকলের উপকার করে, কারো ক্ষতি করে না
এটা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে,
আর এমন স্থান পরিচ্ছন্ন করে যা মানুষ পারে না
এই মহান পথ জলের ধারার মত।
জীবনকে প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দাও
শক্ত ভূমিতে ঘর বাঁধো
তোমার যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট হও
প্রদর্শন করো দয়া
কথা বলার সময় সত্য বলো
যখন তুমি শাসক, থাকে যেন সবার প্রতি সমান মায়া
কাজের ক্ষেত্রে লক্ষ্য স্থির করে নাও
পারিবারিক জীবনে, মনে রেখো, সময়ই সব
জীবনের ক্ষেত্রে নিজের মত বাঁচো
কখনো তুলনা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করোনা
সবাই তোমায় ভালবাসবে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১৬
পদ্য - ৭
মহান পথ সুপ্রাচীন এবং অনন্ত
কেন এটা অনন্ত অসীম?
কারণ নিজের জন্য এর কোন চাওয়া নেই
এজন্যই সে সব কিছুর প্রতিনিধিত্ব করে।
জ্ঞানী পেছনে থাকে এজন্যই সে এগিয়ে যায়
সেও নিজের জন্য কিছু চায় না
তাই সে তাদেরই প্রতিনিধি
সে নিজেকে সবার মাঝে মিশিয়ে দেয়
তাই সে পূর্ণ পরিতৃপ্ত।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৬
কেন এটা অনন্ত অসীম?
কারণ নিজের জন্য এর কোন চাওয়া নেই
এজন্যই সে সব কিছুর প্রতিনিধিত্ব করে।
জ্ঞানী পেছনে থাকে এজন্যই সে এগিয়ে যায়
সেও নিজের জন্য কিছু চায় না
তাই সে তাদেরই প্রতিনিধি
সে নিজেকে সবার মাঝে মিশিয়ে দেয়
তাই সে পূর্ণ পরিতৃপ্ত।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৬
পদ্য - ৬
অন্তহীন সৃষ্টি
অন্তহীন স্পন্দন
অসীম শক্তি যার ক্ষয় নেই
তাকে বলা হয় লুকানো সত্তা
যদিও সে আছে জগৎ জুড়ে।
তার নিঁখুত পবিত্রতা কখনো নষ্ট হবার নয়।
যদিও সে অগণিত অবস্থায় বিরাজ করে
তার সত্য পরিচয় সুরক্ষিতই থাকে
তুমি সেটা দেখো আর না দেখো কিছু যায় আসে না
অস্তিত্ব থাকুক বা না থাকুক
সে অসীম সত্তার সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই না
এ পথ হলো সীমাহীন, অনন্ত
এটাই একমাত্র লুকানো সত্তার হদিস দিতে পারে
সে অক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি
অনন্তের দরজা
তার বাণী শোন
সকল সৃষ্টির মাঝে যার প্রতিধ্বনি বাজে
কোন ব্যর্থতা ছাড়াই সে টিকে আছে
সে আমাদের দেয় পরিপূর্ণতা।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৬
অন্তহীন স্পন্দন
অসীম শক্তি যার ক্ষয় নেই
তাকে বলা হয় লুকানো সত্তা
যদিও সে আছে জগৎ জুড়ে।
তার নিঁখুত পবিত্রতা কখনো নষ্ট হবার নয়।
যদিও সে অগণিত অবস্থায় বিরাজ করে
তার সত্য পরিচয় সুরক্ষিতই থাকে
তুমি সেটা দেখো আর না দেখো কিছু যায় আসে না
অস্তিত্ব থাকুক বা না থাকুক
সে অসীম সত্তার সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই না
এ পথ হলো সীমাহীন, অনন্ত
এটাই একমাত্র লুকানো সত্তার হদিস দিতে পারে
সে অক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি
অনন্তের দরজা
তার বাণী শোন
সকল সৃষ্টির মাঝে যার প্রতিধ্বনি বাজে
কোন ব্যর্থতা ছাড়াই সে টিকে আছে
সে আমাদের দেয় পরিপূর্ণতা।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৬
পদ্য - ৫
মহান পথ কখনো নির্দিষ্ট দিক দেখায় না,
এখানে ভালো আর মন্দ দুটিই সমান।
জ্ঞানী কারো পক্ষ নেয় না,
সাধু আর পাপী দুজনকেই স্বাগত জানায়।
এই পথ অনেকটা হাপরের মত,
এটা ভেতর প্রশস্ত, অসীম ধারণ সম্পন্ন।
যত বেশি এটা ব্যবহার করবে, তত বেশি ফল পাবে।
যত বেশি এটা নিয়ে কথা বলবে, তত কম বুঝতে পারবে।
হৃদয়ে স্থাপন করো।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৩
এখানে ভালো আর মন্দ দুটিই সমান।
জ্ঞানী কারো পক্ষ নেয় না,
সাধু আর পাপী দুজনকেই স্বাগত জানায়।
এই পথ অনেকটা হাপরের মত,
এটা ভেতর প্রশস্ত, অসীম ধারণ সম্পন্ন।
যত বেশি এটা ব্যবহার করবে, তত বেশি ফল পাবে।
যত বেশি এটা নিয়ে কথা বলবে, তত কম বুঝতে পারবে।
হৃদয়ে স্থাপন করো।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৩
পদ্য - ৪
মহান পথকে মনে হয় শূন্যতা কিন্তু এ শুন্যতা পূর্ণ করে অফুরন্ত পাত্র
মহান পথকে দেখা যায়না, কিন্তু এর আভায় আলোকিত হয় মহাবিশ্বের সর্বত্র
এর আবেশে তীক্ষ্ন হতে পারে ভোঁতা আর শক্ত বাঁধন হতে পারে আলগা,
সূর্যকে ঢেকে দেয় তরল মেঘ, ধূলোকে করে একত্র।
অপার গভীর, নিখুঁত পবিত্র, স্থায়ী
এমনি থাকবে অনন্তকাল, অসীম সময়, চিরস্থায়ী
আমি জানিনা এটা কোথেকে এলো
তবে এ পথ ঈশ্বরের চেয়েও প্রাচীন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৩
মহান পথকে দেখা যায়না, কিন্তু এর আভায় আলোকিত হয় মহাবিশ্বের সর্বত্র
এর আবেশে তীক্ষ্ন হতে পারে ভোঁতা আর শক্ত বাঁধন হতে পারে আলগা,
সূর্যকে ঢেকে দেয় তরল মেঘ, ধূলোকে করে একত্র।
অপার গভীর, নিখুঁত পবিত্র, স্থায়ী
এমনি থাকবে অনন্তকাল, অসীম সময়, চিরস্থায়ী
আমি জানিনা এটা কোথেকে এলো
তবে এ পথ ঈশ্বরের চেয়েও প্রাচীন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৩
পদ্য - ৩
যদি মানুষের কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা হয়
তাদের মন শক্তি হারায়
যদি সব তাদের নাগালের বাইরে চলে যায়
তারা অসৎ পথে যায়
জ্ঞানী এমনটা চায়না,
তার নেতৃত্ব মনকে করে প্রসারিত
তাদের দেহ-মনের চাহিদা মিটিয়ে,
ভোগের বাসনা দমন করে,
আর মিথ্যাকে ধ্বংস করে, সুবাসে সুরভিত।
তার সাহায্যে হৃদয় সকলের সাথে মিলিয়ে যায়,
মানুষ জানতে পারে, তাদের মন কি চায়।
আর তারা দ্বিধায় ভুগে, যারা ভাবে সবই জানে।
সে মানুষকে ভোগমুক্তির পথ দেখায়
যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট হতে বলে
মানুষের হৃদয় যখন সততায় পূর্ণ হয়, কে তাদের বিপথে নিতে পারে?
আর কোন চেতনাই বা তাদের ছাইয়ের গাদায় ছুড়ে ফেলে?
যখন কেউ সঠিক পথে যায়, নিজেকে সবার সাথে মিশিয়ে
হৃদয় খুঁজে পায় তার সর্বোত্তম স্থান।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০৭
তাদের মন শক্তি হারায়
যদি সব তাদের নাগালের বাইরে চলে যায়
তারা অসৎ পথে যায়
জ্ঞানী এমনটা চায়না,
তার নেতৃত্ব মনকে করে প্রসারিত
তাদের দেহ-মনের চাহিদা মিটিয়ে,
ভোগের বাসনা দমন করে,
আর মিথ্যাকে ধ্বংস করে, সুবাসে সুরভিত।
তার সাহায্যে হৃদয় সকলের সাথে মিলিয়ে যায়,
মানুষ জানতে পারে, তাদের মন কি চায়।
আর তারা দ্বিধায় ভুগে, যারা ভাবে সবই জানে।
সে মানুষকে ভোগমুক্তির পথ দেখায়
যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট হতে বলে
মানুষের হৃদয় যখন সততায় পূর্ণ হয়, কে তাদের বিপথে নিতে পারে?
আর কোন চেতনাই বা তাদের ছাইয়ের গাদায় ছুড়ে ফেলে?
যখন কেউ সঠিক পথে যায়, নিজেকে সবার সাথে মিশিয়ে
হৃদয় খুঁজে পায় তার সর্বোত্তম স্থান।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০৭
পদ্য - ২
সবাই সৌন্দর্য্য ভালবাসে, কদর্যতা আছে বলেই
সবাই মহত্ব ভালবাসে, পাপ আছে বলেই
জীবন আর মৃত্যু একই সুতোয় গাঁথা।
জটিল আর সরল,
বড় আর ছোট,
উঁচু আর নিচু - সবই সমভাবে বাঁধা।
শব্দ আর নীরবতা একে অপরের সাথে মিশে যায়
আদি আর অন্তের মত অচিন সীমানায়।
জ্ঞানী সবই করে কিছু না করে
শেখায় সবই কিছু না বলে
যারা বড় হতে চায় তিনি বড় করেন
যারা বিলীন হতে চায়, তিনি তাই করেন
সে দিয়ে যায়, ফেরতের আশায় নয়
সে পরিশ্রম করে, উপহারের আশায় নয়
সে কাজ করে, ফলের আশায় নয়
নিজের জন্য সে কিছুই গড়েনা, এই খরস্রোতা সময়ের ভুবনে
সময় তাকে বিলীন করতে পারে না, চিরস্থায়ী সকল সময়ে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৮
সবাই মহত্ব ভালবাসে, পাপ আছে বলেই
জীবন আর মৃত্যু একই সুতোয় গাঁথা।
জটিল আর সরল,
বড় আর ছোট,
উঁচু আর নিচু - সবই সমভাবে বাঁধা।
শব্দ আর নীরবতা একে অপরের সাথে মিশে যায়
আদি আর অন্তের মত অচিন সীমানায়।
জ্ঞানী সবই করে কিছু না করে
শেখায় সবই কিছু না বলে
যারা বড় হতে চায় তিনি বড় করেন
যারা বিলীন হতে চায়, তিনি তাই করেন
সে দিয়ে যায়, ফেরতের আশায় নয়
সে পরিশ্রম করে, উপহারের আশায় নয়
সে কাজ করে, ফলের আশায় নয়
নিজের জন্য সে কিছুই গড়েনা, এই খরস্রোতা সময়ের ভুবনে
সময় তাকে বিলীন করতে পারে না, চিরস্থায়ী সকল সময়ে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৮
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯
পদ্য - ১
যে পথে হাঁটা হয় তাই নয় পথ।
সব পথ বয়ে নেয় জীবনের রথ।
যে নামে ডাকা হয় তাই নয় নাম।
নাম আর নামহীন দুটিই সমান।
নামহীন হল পরমসত্য।
আর নাম হল পরমভিত্তি।
সকল কিছুর সূচনা, জীবনের গতি।
বাসনা মুক্ত হলে বুঝতে পারবে এর রহস্য।
আর বাসনায় আচ্ছন্ন হলে অনুভব করবে শুধু বাসনা।
রহস্য আর বাসনার উৎস একই,
উৎসের নাম আঁধার।
আঁধারের মাঝে আঁধার, সকল জ্ঞানের সূচনা।
[২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৬]
সব পথ বয়ে নেয় জীবনের রথ।
যে নামে ডাকা হয় তাই নয় নাম।
নাম আর নামহীন দুটিই সমান।
নামহীন হল পরমসত্য।
আর নাম হল পরমভিত্তি।
সকল কিছুর সূচনা, জীবনের গতি।
বাসনা মুক্ত হলে বুঝতে পারবে এর রহস্য।
আর বাসনায় আচ্ছন্ন হলে অনুভব করবে শুধু বাসনা।
রহস্য আর বাসনার উৎস একই,
উৎসের নাম আঁধার।
আঁধারের মাঝে আঁধার, সকল জ্ঞানের সূচনা।
[২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৬]
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)
সম্পূর্ন বই ডাউনলোড করতে..
তাও তে চিং (মহান পথ..), চীনের প্রসিদ্ধ ধর্ম তাওবাদ-ধর্ম কিংবা তাওবাদ দর্শনের সূচনা এখান থেকেই। বইয়ের মূল লেখক হিসেবে ধারণা করা হয় লাওজি/লাও...
-
তাও তে চিং (মহান পথ..), চীনের প্রসিদ্ধ ধর্ম তাওবাদ-ধর্ম কিংবা তাওবাদ দর্শনের সূচনা এখান থেকেই। বইয়ের মূল লেখক হিসেবে ধারণা করা হয় লাওজি/লাও...
-
সত্য বাক্যে থাকে না মনের মাধুরী, মিথ্যা বাক্য করে শব্দের বাহাদুরী। জ্ঞানীরা কখনো খুঁজে না অন্যের দোষ, যারা দোষ খুঁজে তারা জ্ঞানী নয়, ভণ্...