মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

পদ্য - ৭৬

জীবনের শুরুতে আমরা থাকি কোমল আর প্রাণবন্ত
জীবনের শেষ পথে হয়ে যাই রুক্ষ আর অনুভূতিহীন
সব কিছুই একই নিয়মের পরিবর্তিত হয়,
সবুজ ঘাস, কত সবুজ আর কোমল, হয়ে যায় শুষ্ক আর ঝুরঝুরে।
তাই বলা যায়, কোমলতা আর নমনীয়তা জীবনের সহচর
রুক্ষতা আর অনমনীয়তা মৃত্যুর দোসর।

দেশ রক্ষায় যদি নতুনদের যোগদান না থাকে, তা টেকসই নয়,
ঝড়ের সামনে মাথা না নোয়ালে গাছ, মুখ থুবড়ে পড়ে রয়।
এটাই প্রকৃতির নিয়ম, নিজস্বতা
কঠিনতা আর অনমনীয়তা নেমে আসে নির্মম পরাজয়,
কোমলতা আর নম্রতা উজ্জ্বাপন করে বিজয়।


১৯ জানুয়ারী ২০১৯ ২৩:৫৯

পদ্য - ৭৫

যখন করের পরিমাণ আয়ের চেয়ে বেড়ে যায়,
মানুষ তার মৌলিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়।
সরকার যখন মানুষের সকল বিষয়ে নাক গলায়,
মানুষ নিজেদের অসহায় অনুভব করে, আত্মবিশ্বাস হারায়।

মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করো,
তাদের প্রতি আস্থা রাখো,
তাদের মতই তাদের থাকতে দাও।


১১ জানুয়ারী ২০১৯ ০২:২৩

পদ্য - ৭৪

যদি তুমি বুঝতে পারো, "সবই বদলে যায়"
কোনকিছু আঁকড়ে ধরার ইচ্ছেই থাকবে না।
যদি তোমার মৃত্যুভয় নাই থাকে,
জীবনে অর্জন করারও কিছু থাকে না।

ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, ব্যাপারটা নিজেকেই 'প্রকৃতি' ভাবা
যখন তুমি সমস্ত জগতের কাজ একাই করতে যাবে,
ক্লান্তি আর বিভ্রান্তি তোমায় গ্রাস করবে।


১১ জানুয়ারী ২০১৮ ০২:১৩

পদ্য - ৭৩

তীব্র আবেগ: ভালবাসা, কামনা, ঘৃণা
বয়ে আনে মৃত্যুর বাণী।
শান্ত হৃদয় আর সাহসিকতা, আনে নতুন জীবন
অনেক অনেক দামী।
এই দুইয়ের মাঝে: একটি উপকারী, অপরটি সর্বনাশ।
কোনটি স্বর্গীয় নয়, তাই বা কে জানে?
এ মহান পথ কখনো তর্কযুদ্ধে মাতে না, কিন্তু জয় করে সব
এটা কথা বলে না, কিন্তু দ্রুত সাড়া দেয়।
এটা আসমান থেকে নামে নি, প্রকৃতির নির্যাস।
এটা দেখতে ধোঁয়াশা, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানের প্রদর্শক।
এটি জালের মত, জড়িয়ে রেখেছে সমস্ত মহাবিশ্ব,
যদিও এর ছিদ্রগুলি বেশ প্রশস্ত, তবুও জড়িয়ে রাখে সব।


১১ জানুয়ারী ২০১৯ ০১:৫৮

পদ্য - ৭২

মানুষ যখন চিন্তা-চেতনার উপর বিশ্বাস রাখতে পারে না,
তারা ধর্মের কাছে যায়,
যখন তারা নিজেদের প্রতিই বিশ্বাস হারায়,
তখন ভরসা রাখে আইনের ধারায়।

জ্ঞানী এ পথে যায় না, তাই মানুষও বিভ্রান্ত হয় না।
সে কিছু না শিখিয়েই শেখায়,
তাই তাদের শেখার কিছু থাকে না।


০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:২৯

পদ্য - ৭১

কিছু না জানাই সবচেয়ে বড় জ্ঞান,
সবচেয়ে বড় রোগ, না জেনে অনুমান।
প্রথমে তোমায় বুঝতে হবে তোমার অসুস্থতা,
এরপরই খুঁজে পাবে আরোগ্যের পথ।

জ্ঞানী নিজেই নিজের আরোগ্যকারী,
সে জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেকে সারিয়ে তোলে।
এজন্য তার মাঝেই সব বিদ্যমান।


০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:১৮

পদ্য - ৭০

আমার দেখানো এই পথের ছবি,
বুঝতে পারা আর সে পথে ভ্রমণ করা বেশ সহজ।
এরপরেও জগতের খুব কম মানুষ তা বুঝতে পারে,
এবং আরো কম লোকই সেখানে ভ্রমণ করে।

এই পথের উৎস অতি প্রাচীন,
আর এটাই অনুসরণ করে সমস্ত জগৎ।

মানুষের যদি এ সম্বন্ধে ধারণাই না থাকে, তবে কীভাবে আমায় চিনবে?
যারা আমার এই পথ অনুসরণ করে, তাদের সংখ্যা অনেক কম,
তারা পুরস্কৃত হয়,
হোক আমীর অথবা ফকির, এসব বিবেচ্য নয়।


০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:০০

পদ্য - ৬৯

সেনাপতিগণ বলে থাকেন:
"আক্রমণ করার চেয়ে শত্রুর গতিবিধির উপর নজর রাখা শ্রেয়।
ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে বাঘ যেমন নিজেকে গুটিয়ে নেয়,
তেমনি আক্রমনের আগে নিজেদের পূর্ণ প্রস্তুতি প্রয়োজন।"

একে বলা হয়,
না এগিয়েই এগিয়ে যাওয়া,
যুদ্ধ না করেই হটিয়ে দেওয়া।

যদি শত্রুকে দূর্বল ভাবো, তোমার মত দুর্ভাগা জগতে বিরল।
শত্রুকে তুচ্ছ ভাবার অর্থ হল, তোমার বদ্ধমূল ধারণা সে খারাপ।
এর মাধ্যমে তুমি তোমার তিনটি গুপ্ত সম্পদ ধ্বংস করলে,
আর নিজেই নিজের শত্রু হলে।

যখন দুইটি বৃহৎ বিপরীত সত্তা একে অপরের বিপরীতে যায়,
তারা কেউই বিজয়ী হয় না,
জয়ী হয় সেই, যার কোন শত্রু নেই।


০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:৫৮

পদ্য - ৬৮

ভালো খেলোয়াড় দক্ষ প্রতিপক্ষ আশা করে।
চৌকশ সেনাপতি অনায়াসে প্রবেশ করে শত্রুর মনের ঘরে।
ঝানু ব্যবসায়ী বুঝতে পারে খদ্দেরদের চাহিদা।
সেরা নেতা জনতার কাঙ্খিত পথেই চলে।
সে নিজেকে তাদের চেয়ে বড় দাবি করে না,
সে সবার চেয়ে ছোট থাকার চেষ্টা করে।
এই গুণই তাকে বসায় অনন্য উচ্চতায়,
যেখানে কেউ তাকে প্রতিপক্ষ ভাবে না।
এ নীতি স্বর্গীয়,
এই সেই পুরানো পথ, যা নিয়ে যায় পরিপূর্ণতায়।


০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:৩৫

পদ্য - ৬৭

একদল মনে করে আমার এই শিক্ষণীয় প্রয়াস একদম ফালতু,
অন্যদল ভাবে, "অমৃত বানী", তবে এ যুগে অচল।
যারা নিজের ভেতরে তাকাবে, মনের চোখে দেখবে
তারা খুঁজে পাবে এই 'ফালতু'র মাঝেই 'মহান' কিছু।
আর যারা এগুলি চর্চা করবে, তারা বুঝবে, এগুলি সকল সময়ে সচল।

শেখানোর জন্য মাত্র তিনটা জিনিসই আমার আছে,
সরলতা, ধৈর্য এবং সমবেদনা।
এই তিনটি জিনিসই তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
চিন্তা এবং কর্মে সরলতা বজায় রাখো,
খুঁজে পাবে মনের প্রকৃত উৎস।
বন্ধু এবং শত্রু উভয়ের প্রতি ধৈর্যশীল হও,
বুঝতে পারবে প্রকৃত সত্য।
সমবেদনা রাখো নিজের প্রতি,
সমস্ত জগত তোমার হয়ে যাবে।


৮ জানুয়ারী ২০১৯  ০২:২৬

পদ্য - ৬৬

সকল নদী তার জলধারা বিলিয়ে দেয় সাগরকে
কারণ সাগর তার চেয়ে নিচুতে থাকে।
নম্রতা এমনই গুণ যা এনে দিতে পারে অচিন্তনীয় ক্ষমতা।

যদি তুমি মানুষদের তোমার পথে আনতে চাও,
তোমাকে অবশ্যই বিনয়ী এবং নম্র হতে হবে,
"আমি তাদের চেয়ে সেরা", এমনটা মন থেকে দূর করতে হবে।
যদি গণমানুষের নেতা হতে চাও,
তোমাকে এমন ভাবে চলতে হবে যেন তারাই তোমায় পথ দেখাচ্ছে।

জ্ঞানী সবার উপরে থাকে, তবু কেউ অনুভব করে না তারা নিচে।
সে সবার সামনে থাকে, তবু কেউ ভাবতে পারে না তারা পেছনে।
সমস্ত জগতই তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
কারণ সে কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে না,
এজন্য কেউই তার সাথে প্রতিযোগিতায় মাতে না।


০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ; ০১:৫৯

পদ্য - ৬৫

সুদূর অতীতের জ্ঞানীগণ মানুষদের কিছু শেখানোর চেষ্টা করত না,
তারা দেখিয়ে দিতো তাদের অপূর্ণতা।

যদি মানুষের ধারণা সৃষ্টি হত তাদের কাছে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে
তারা হয়ে যেতো আগ্রাসী।
কিন্তু তারা যখন জানতো তারা কিছুই জানে
তখন সন্ধান করতো জ্ঞানের।

যদি তুমি নেতৃত্ব শিখতে চাও,
অর্থ এবং চতুরতার পথ বর্জন করো।
জীবনের সরল পথ অত্যন্ত স্বচ্ছ,
সাধারণ জীবন যাপন করো,
তখনই তুমি মানুষদের পথ দেখাতে পারবে,
যখন পথ সম্বন্ধে তোমার স্পষ্ট ধারণা থাকবে।


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:৪৭

পদ্য - ৬৪

শান্ত মন সহজেই সত্যকে অনুভব করতে পারে
জীবনে যতই জঞ্জাল আসুক,
শান্ত মন তা সহজেই দূরে সরাতে পারে ।
দূর্বল বস্তু সহজেই নুয়ে পড়ে,
বস্তু যত ক্ষুদ্র হয় তার বিক্ষিপ্ততা তত বাড়ে।
সময়ের কাজ সময়ে করে যাও, নতুবা সেগুলি তোমায় এগুতে দেবে না।
নিজের সম্পদ নিজের কাছেই রাখো,
অন্যে সেগুলির মূল্য বুঝবে না।

মনে রেখো,
যে বিশাল বৃক্ষ তার শীতল ছায়ায় তোমার হৃদয় জুড়ায়
তার জন্ম হয়েছে ছোট্ট বীজের থেকে।
বিন্দু বিন্দু জলকণা থেকেই সৃষ্টি হয় বিশাল সমুদ্রের।

তড়িঘড়ি করে কিছু করতে যাওয়া মানে সেই কাজের সর্বনাশ ডেকে আনা,
আর কোন কিছু আকড়ে ধরতে চাওয়ার মানে তা হারানোর সূচনা।
জোড় করে কার্য সাধনের চেষ্টা সেই কাজের সর্বনাশ করে।

এজন্যই জ্ঞানী শুরু করে সবার শেষ হবার পড়,
শান্ত আর সুস্থির থাকে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
তার কিছুই নেই।
তাই কিছু হারাবারও নেই।
তার চাওয়া গুলো কোন চাওয়া নয়।
সে যা শেখায় তা কোন শেখা নয়।
সে সব শুধুমাত্র মানুষদের মনে করিয়ে দেয় তারা কী ছিলো।
এ পথ ছাড়া তার কোন অর্জন নেই।
এজন্যই সে সমস্ত সৃষ্টির প্রতি যত্নশীল।


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:৩০

পদ্য - ৬৩

কিছু না করেই সকল কাজের কর্তা।
কিছু না দিয়েও মহান দাতা।
অনুভুতি নেই তবুও অনুভব করে।
বিশালও হতে পারে আবার পরম ক্ষুদ্রতায় মিশে যেতে পারে।
এটা একের মাঝে অনেক আবার অনেকের মাঝে এক।
তোমার সকল কিছু এ পথের ছন্দে মিলিয়ে নাও।
এতে তোমার ইচ্ছেগুলি পরিণত হবে মূল্যবান সম্পদে,
আর হৃদয়ের যন্ত্রণা রূপান্তরিত হবে আশীর্বাদে।

মহান হবার জন্য জ্ঞানী জ্ঞান বিলায় না;
এজন্যই সে অর্জন করে মহানুভবতা।
যখন তার পথে ধেয়ে আসে দুর্বিপাক,
ছেয়ে যায় জীবন দুর্বিসহ জটিলতায়,
তখন সে থেমে যায় আর এর মাঝে সমর্পণ করে সব।
সে নিজের সুখের কথা ভাবে না,
তাই দুঃখও তার কাছে ঘেঁষতে পারে না।


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮  ০২:৪৪

পদ্য - ৬২

মহান পথ সকল রহস্যের ধারক, ধারণ করে প্রকৃত সত্য।
জ্ঞানীদের কাছে মহামূল্যবান,
সাধারণের কাছে নিছকই অবহেলার বস্তু।

সুন্দর জ্ঞানপূর্ণ কথা অর্জন করতে পারে সম্মান,
কল্যাণময় ভাল কাজ নিয়ে আসে শ্রদ্ধা,
মহান পথের মাঝে সবই বিদ্যমান,
তবে কেউই এপথ জয় করতে পারে না।

তাই যখন নতুন নেতা নির্বাচন করবে,
তাকে সাহায্য করো না ধন-সম্পদ বা অভিজ্ঞতা দিয়ে
বরং তাকে সহায়তা করো এ পথের জ্ঞান বিলিয়ে।

প্রাচীন জ্ঞানীরা কেন এ পথকে এতটা বিশ্বাস করতেন?
কারণ তারা এ মহান পথের সাথে তাল মেলাতেন,
যখন তুমি জানতে চাইবে, তখন তুমি জানতে পারবে;
আর যখন তুমি ভুল করবে, তখন তুমি ক্ষমা পাবে।
এজন্য সবাই এটিকে ভালবাসে।


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২২

পদ্য - ৬১

একটি মহান দেশ অনেকটা নদীর স্রোতের মত,
এর জলধারায় মিশে একাকার হয়ে যায় যা আছে যত।
এটা এমন এক স্থান যেখানে সবাই এসে আশ্রয় নিতে পারে।
সমস্ত বিশ্বকে সে সাদরে গ্রহন করে।
নিরহংকার অহংকারের চেয়ে মহান।
স্থিরতা গতির চেয়ে স্থায়ী, চির মহীয়ান।
নিরহংকার দেশ তার প্রতিবেশীদের আপন করে নেয়।
নমনীয়তা কঠোরতাকে জয় করে নেয়।
জ্ঞানী সর্বদা জনতার উন্নয়ন কামনা করে।
জনতা চলতে চায় জ্ঞানীর পথ ধরে।
জ্ঞানী তার দরজা সবার জন্য খুলে রাখে।
সবাই সমান, একই চোখে তাদের দেখে।
জ্ঞানী শ্রদ্ধা করে মানুষদের,
মানুষগণ সম্মান করে জ্ঞানীকে,
এর মাঝেই স্থাপিত হয় মহানুভবতা।


০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৫৬

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

পদ্য - ৬০

বড় দেশ পরিচালনা অনেকটা ছোট মাছ ভাজার মত,
বেশি নাড়াচাড়া করলে তা নষ্ট হবে।

দেশকে মহান পথে স্থাপন করো
সকল অপশক্তি তাদের ক্ষমতা হারাবে।
এমন নয় যে তারা থাকবে না,
মানুষ খুব সহজেই পরিত্যাগ করতে পারবে।

অপশক্তির বিরুদ্ধে যাবার দরকার নেই,
এটা নিজে থেকেই বিলীন হয়ে যাবে।


০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৪০

পদ্য - ৫৯

সুচারুভাবে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে
মধ্যপন্থার চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।

মধ্যপন্থী মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো,
তার চিন্তা চেতনা উন্মুক্ত,
আকাশের মত উদার,
সূর্যালোকের মত দীপ্তিময়,
পর্বতের মত দৃঢ়,
বাতাসের মত নমনীয়, বিস্তৃত মনের দুয়ার।
তার দৃষ্টির নির্দিষ্ট সীমানা নেই,
সে সকল জ্ঞানই ব্যবহার করতে পারে,
তার পথেই পরিচালিত হয় জীবন, পরিপূর্ণতায়।

তার অসাধ্য কিছু নেই,
কারণ সবই তার পথে,
সে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হতে পারে,
যেমন মা তার সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল।


০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩২

পদ্য - ৫৮

যদি কোন দেশ সহনশীলতা দিয়ে পরিচালিত হয়
জনজীবনে বয় স্বস্তির বাতাস, তারা অবলম্বন করে সততা।
আর যদি দেশ পরিচালিত হয় জুলুম আর নিপীড়ন দ্বারা,
জনজীবনে নেমে আসে হতাশা, আর তারা আঁকড়ে ধরে শঠতা।

যখন কোন শাসনব্যবস্থা জোর করে তার ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়,
আদর্শ উচ্চ হলেও এর ফলাফল হয় নগন্য।
জনগনকে সুখী করার চেষ্টা করে,
কিন্তু ভিত্তি গড়ে দুঃখের।
জনগনকে নৈতিক করার চেষ্টা করে,
কিন্তু স্থাপিত হয় অনৈতিকতা।

এজন্যই জ্ঞানী ভালবাসে এমন উদাহরণ
যেখানে নিজের ইচ্ছার প্রকাশ থাকে না।
সে সূচারু ভাবে দেখিয়ে দেয়, কিন্তু খোলাসা করে বলে না।
দেখায় সুনির্দিষ্ট পথ, কিন্তু বলে না সে পথেই যেতে হবে।
দেখায় উজ্জ্বলতার প্রভা, কিন্তু তা চোখকে ঝলসায় না।


০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১৫

পদ্য - ৫৭

দেশ পরিচালনায় প্রয়োজন জ্ঞাত পরিকল্পনা।
যুদ্ধ জয়ে প্রয়োজন অজ্ঞাত চিন্তা-চেতনা।
বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড জয় করতে আসলে কিছুরই প্রয়োজন নেই।
তাকে নিজের মত থাকতে দাও।
কীভাবে এসব বললাম?
জ্ঞানী বলেছেন,
যত বেশি বিধিনিষেধ তত বেশি দারিদ্র্যতা।
যত বেশি অস্ত্র তত বেশি ভয় আর হীনমন্যতা।
যত বেশি চতুরতা তত বেশি বিব্রত হবার আশংকা।
যত বেশি আইন তত বেশি তা ভাঙার তাড়না।

প্রকৃত ভালবাসা দিয়ে নিজের হৃদয় সাজাও,
মানুষ তোমাকে দেখে শিখবে।
জীবনকে ভালোবাসো, জীবন উন্নত হবে।
নিঃশর্ত কাজ করে যাও, মানুষের উন্নয়ন হবে।
কিছুই প্রত্যাশা করো না, মানুষই সব পূরণ করবে।


০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:২৪

পদ্য - ৫৬

যারা জানে তারা বেশি কথা বলে না।
যারা বেশি কথা বলে তারা জানে না।

মুখ বন্ধ করো
অনুভূতি ত্যাগ করো।
জ্ঞানকে প্রসারিত করো।
দৃষ্টিকে মনে আবদ্ধ করো।
মনের বাঁধন খুলে দাও।
ধূলিকণার মত এক হয়ে যাও জগতের সাথে।
একে বলে "মনের আলিঙ্গন"।

যে এটা জানে,
সে কখনো জড়ায় না- পবিত্র বাঁধনে অথবা অপবিত্রতায়।
তার কিছু যায় আসে না - ধনসম্পদে অথবা দারিদ্রতায়।
তাকে কখনো ছোঁয় না - মান-মর্যাদা অথবা ঘৃণা।
এসব থেকে সে থাকে বহু দূরে, সাজানো আপন মনের আঙিনা।
তার হৃদয় অবস্থান করে পবিত্রতম স্থানে।


০৫ ডিসেম্বর ২০১৮  ০৩:১৫

পদ্য - ৫৫

যে এই মহান পথে পদচারণা করে সে পরিণত হয় সদ্য জন্মানো শিশুর মত,
নিষ্পাপ, নিষ্কলঙ্ক।
বিষাক্ত অহংকার তাকে গ্রাস করে না।
বন্য হিংস্রতা তাকে ছুঁতে পারে না।
সবাই তাকে ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখতে চায়।
সে পরিণত হয় জগতের দুইটি বিপরীত সত্তার প্রকৃত মেল-বন্ধন।
সে চাইলে কিছু না করেই জগতের তালে তাল মেলাতে পারে।

জগতের ছন্দ জানলে- সামনে আসে অনন্ত,
অনন্তের মাঝে বিচরণে- আলোকিত হয় সব, জ্ঞানের আলোয়।
"পূর্ণ জীবন", তোমার জন্য উপহার।
পবিত্র হৃদয় - তোমার শক্তির উৎস।
এগুলো মহান পথের ছন্দ।
যখন কোন কিছুকে বল প্রয়োগে বাধ্য করা হয়, তা স্থায়ী নয়,
মহান পথ তাকে সাথে রাখে না।
আর যা এ মহান পথের সাথে থাকে না, তার বিলীন আসন্ন।


০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৭

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

পদ্য - ৫৪

যার ভিত্তি মহান পথের মাঝে
তা কখনো নষ্ট হয়না।
এ পথে চলছে যে হৃদয়,
তা কখনো ভেঙে যায় না।
তার নাম স্মরিত হয় শ্রদ্ধার সাথে,
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, যুগ যুগান্তরে।

এ মহান পথে জীবন গড়ো
তুমি হবে খাঁটি মানুষ,
তোমার পরিবারকে এর মাঝে স্থাপন করো,
তারা হবে প্রকৃত সুখী।
দেশকে এ মহান পথে স্থাপন করো,
তোমার দেশই হবে সকল দেশের সেরা।
মহাবিশ্বকে এ পথে চালিত করো,
তারা গাইবে সুখের গান।

জানতে চাও এ সত্য কীভাবে জেনেছি?
আমি আমায় দেখেছি।


২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:১৭

পদ্য - ৫৩

জীবনের আসল পথে চলা সহজ,
কিন্তু মানুষ ভালবাসে বিকল্প পথ।
সকল কিছু ভারসাম্য হারানোর আগে সচেতন মনে ভাবো,
মহান পথের মাঝে থাকো।

যখন সমাজে ধনী ফাটকাবাজদের দল বেড়ে যায়,
কৃষক তার সম্বল হারায়,
রাষ্ট্র সমস্যা সমাধানে না গিয়ে অস্ত্র কেনায় বেশি আগ্রহ পায়,
বেপরোয়া হয়ে উঠে ধনিক সমাজ,
গরীব মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়,
চারদিকে বেড়ে যায় হানাহানি আর নৈরাজ্য,
তখনই বুঝে নিও, সে সমাজ মহান পথে নেই।


২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:০৭

পদ্য - ৫২

সবার প্রথমে ছিল এই মহান পথ।
সকল কিছু সেখান থেকে এসেছে;
সকল কিছু আবার সেখানেই ফিরে যাবে।

প্রকৃত সত্তাকে খুঁজে পেতে অনুসরণ করতে হয় এই পথ
যখন তুমি তা খুঁজে পাবে, থেমে যাবে দুঃখ নামের রথ।

যদি নিজের মন কে বাসনা দিয়ে আটকে রাখো
তোমার হৃদয়ে বইবে দুঃখ স্রোত।
যদি নিজের মনকে বাসনামুক্ত রাখতে পারো
ধুয়ে যাবে সকল কালিমা, হৃদয়ে বইবে সুখের স্রোত।

কিছু না দেখার মাঝে দেখা হল বোঝার ক্ষমতা।
কিভাবে সব সৃষ্টি হল তা জানাকে বলে সক্ষমতা।
আপন আলোয় পথ দেখো,
এবং চলে যাও এর উৎসে।
একে বলে অনন্তের চর্চা।


২৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:১৮

পদ্য - ৫১

মহাজগতের প্রত্যেকটি সৃষ্টি মহান পথ কে প্রকাশ করে।
এ পথ অস্তিত্বের নির্মাতা।
এ পথ সূচনা করে গন্তব্য, প্রকৃতির তৈরী করে দেহ।
এজন্যই সতঃস্ফুর্ত ভাবে সবাই এ পথ কে সম্মান করে।

এ মহান পথ প্রত্যেক সৃষ্টির জন্মদাতা,
এটা তাদের খাবার জোগায়, পালন করে,
আগলে রাখে, রক্ষা করে, আবার নিজের কাছে নিয়ে আসে।

কোন প্রক্রিয়া ছাড়াই সৃষ্টি করে।
কোন প্রত্যাশা ছাড়াই কাজ করে।
আধিপত্য বিস্তার না করেই গন্তব্য দেখায়।
এই মহান পথ কে ভালবাসার এটাই আসল কারণ।


২৬ নভেম্বর ২০১৮ ‌১৫:৪৮

পদ্য - ৫০

জ্ঞানী সব সময় নিজেকে সময়ের ঊর্ধ্বে রাখে
সে জানে একদিন তার সময় ফুরাবে,
কোন ভাবেই থামানো যাবে না এ পরিণতি।
তার মনে কোন দ্বিধা নেই।
তার দেহের জন্য ভাবনা নেই।
সে এসব নিয়ে ভাবে না।
সকল কিছু ক্ষুদ্রতা থেকে বের হয়ে জগতের সাথে মিশে যাবে।
জীবন থেকে সে কিছু পাওয়ার আশা করে না।
এজন্য সে সব সময়ই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত,
যেমন দিন শেষে ক্লান্ত চোখে ঘুম নেমে আসে।


২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৫৬

পদ্য - ৪৯

জ্ঞানীর নিজের কোন মন নেই,
সকলের মনেই তিনি বাস করেন।

ভাল মানুষদের তিনি কাছে টানেন।
খারাপ মানুষদেরও তিনি আপন ভাবেন।
এটাই প্রকৃত মহানুভবতা।

যারা বিশ্বাসী তাদের তিনি বিশ্বাস করেন।
যারা বিশ্বাসঘাতক, তাদেরও তিনি বিশ্বাস করেন।
এটাই প্রকৃত "বিশ্বাস"।

জ্ঞানীর মন শূন্যতার মত।
মানুষ সেটা বুঝতে পারে না।
তারা তাকে দেখে আর বিস্মিত হয়।
তিনি তাদের নিজের সন্তানের মতই ভালবাসেন। 


১৮ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩২

পদ্য - ৪৮

জ্ঞানের সাধনায় প্রতিদিনই নতুন কিছু যোগ হয়।
এই পথে জীবন চর্চায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু বাদ যায়।
বাদ যেতে যেতে এমন অবস্থা হয় যখন আর কিছু থাকে না।
যখন কিছুই নেই,
তখন অসম্পূর্ণতাও নেই।

যখন কেউ নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে
তার গৌরব অমলিন, তার কাছেই ফিরে আসে বারে বারে।
যখন কেউ নিজের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে,
সেকাজে গর্বের কিছু থাকে না, হারিয়ে যায় চিরতরে।


১৮ নভেম্বর ২০১৮ ২২:২২

পদ্য - ৪৭

ঘরের দুয়ার না খুলেই, খুলে ফেলা যায় মনের দুয়ার
সেখানে দেখা যায় সমস্ত জগৎ, জীবন বাহার।
এ মহান পথ পথে চলতে ঘরের নয়,
মনের দরজা খুলতে হয়।

যত বেশি জানবে,
তত রহস্যময় মনে হবে সব কিছু।

জ্ঞানী সে পথে পৌছায় স্বস্থানে থেকেই।
সেই মহান পথ দেখে, চোখ না খুলেই।
কাজ সম্পন্ন করে, কোন কিছু না করেই।


১৮ নভেম্বর ২০১৮ ২২:০৯

পদ্য - ৪৬

যখন কোন দেশ মহান পথে চলে,
দেশে নেমে আসে উন্নয়নের জোয়ার।
যদি সবাই এ পথ থেকে দূরে থাকে
তবে নেমে আসে বৈরিতা,
অশান্তির স্ফুলিঙ্গ জ্বলে।

ভয়ের চেয়ে বড় ভ্রম আর কিছু নেই,
নিজেকে প্রতিরোধ করার চেয়ে ভুল আর কিছু নেই,
শত্রুর পাশে বসবাসের চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হয় না।

যে সকল ভয়ের উৎস দেখতে পারে,
সে সব সময়  নিরাপদে বাস করে।


১৮ নভেম্বর ২০১৮ ২২:০১

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯

পদ্য - ৪৫

প্রকৃত নিঁখুততা কে মনে হয় অস্পষ্ট ছায়া।
তবে এতে তার নিঁখুততায় প্রভাব পড়ে না।
প্রকৃত পরিপূর্ণতা কে মনে হয় অপূর্ণতা,
যদিও তা বাস্তবিকই পরিপূর্ণ।

প্রকৃত সরলতা কে মনে হয় কুটিলতা।
প্রকৃত জ্ঞানী কে মনে হয় নির্বোধ।
প্রকৃত শিল্পকে মনে হয় ফালতু কাজ।

চলার মাঝে থাকো, ঠান্ডা তোমায় স্পর্শ করবে না।
নিরব থাকো, অনুভব করতে পারবে মনের উত্তাপ।
বসন্তের বৃষ্টির মত মনকে কর প্রশান্ত।

যা ঘটে জ্ঞানী তা মেনে নেয়।
যে যেমন সে তাকে তেমনই গ্রহণ করে।

----------------------------------------
অনুবাদ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৮
----------------------------------------
বই: তাও তে চিং
লেখক: লাওজি
সময়কাল: খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতক
ধরণ: দর্শন

১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৮

পদ্য - ৪৪

খ্যাতি আর সততা: কোনটা বেশি প্রয়োজনীয়?
টাকা আর সুখ: কোনটা বেশি দরকারী?
সফলতা আর ব্যর্থতা: কোনটা বেশি ধ্বংসাত্মক?

কার্যদ্ধারের জন্য যদি অন্যদের উপর নির্ভর করতে হয়
যা চেয়েছো তা কখনই পাবে না।
তোমার সুখ যদি টাকার উপর নির্ভরশীল হয়
তবে কোন দিনও প্রকৃত সুখী হতে পারবে না।

তোমার যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট হও;
সেগুলু সাজিয়েই জীবন সাজাও।
যখন বুঝতে পারবে তোমার সবই আছে,
সমস্ত দুনিয়াই তোমার পাশে থাকবে। 


১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২২:১৪

পদ্য - ৪৩

জগতের সবচেয়ে কোমলতা
জয় করে নির্মম কঠোরতা।
জগতের শূন্যতা
পূর্ণ করে সব অপূর্ণতা।
এ থেকে ধারণা পাই,
ধীর-স্থিরতা অস্থিরতার চেয়ে ভাল।
আর বেশি কথার চেয়ে নিরবতা শ্রেয়।
কথা না বলেই শেখানো,
আর কিছু না করেই সব করা।
এটাই জ্ঞানীর পন্থা।


১৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০৫

পদ্য - ৪২

মহান পথ জীবন স্থাপন করলো একটি
সেই একটি জন্ম দিল দুইটি
দুইটি থেকে হল তিনটি
আর এই তিনটি থেকেই এলো সমস্ত প্রাণ।

দুইটি বিপরীত সত্ত্বা নিয়েই সমস্ত জগৎ , সমস্ত কিছু।
যখন দুইটি সত্ত্বা মিলিত হয়, সৃষ্টি হয় বিশুদ্ধ স্পন্দন।

সাধারণ মানুষ নিঃসঙ্গতাকে ঘৃণা করে।
কিন্তু জ্ঞানী এটা ব্যবহার করে,
একাকিত্বকে ভালবেসে সে অনুভব করে
সমস্ত জগৎ থাকে তার হৃদয় জুড়ে।


১৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৫১

পদ্য - ৪১

যখন উচ্চ মনের মানুষ এ পথের কথা শুনে,
সে এই পথে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
যখন মধ্যম মনের মানুষ এর কথা শুনে,
কিছুটা বিশ্বাস আর কিছুটা অবিশ্বাস জাগে তার মনে।
যখন নিম্ন মনের মানুষ এর কথা শুনে,
সে অট্টহাসিতে উপহাস করে,
যদি সে উপহাস না করে, তবে বুঝতে হবে সে এর কথা শুনে নি!

একজন জ্ঞানী বলেছিলেন,
সঠিক পথ কে ঝাঁপসা মনে হয়।
সোজা পথ কে মনে হয় বাঁকা।
নিশ্চিত পথ কে মনে হয় অনিশ্চয়তা দিয়ে ঘেরা।
সর্বোচ্চ ক্ষমতা কে মনে হয় দূর্বলতা।
আসল খাঁটি কে মনে হয় খাদ মেশানো।
অধিক প্রাচুর্যতা কে মনে হয় শূন্যতা।
চিরস্থির কে মনে হয় কম্পমান।
প্রকৃত সত্য কে মনে হয় মিথ্যা।
আকাশের কোন সীমানা থাকে না।
প্রকৃত ভালবাসা কখনো বদলায় না।

যখন কেউ শেখা শুরু করে, সে কিছুই জানে না,
কিন্তু যখন সে চেষ্টার পর চেষ্টা করে আয়ত্ব করে, মানুষ ভাবে- কত্ত মেধাবী!
শূন্য পাত্র শব্দ করে না, কিন্তু যদি আঘাত করা হয়, ঝঙ্কার দিয়ে উঠে।
এ মহান পথ আঁধারে থেকে জগৎ কে সাজায় আলোয় আলোয়।


১৬ নভেম্বর ২০১৮ ২২:২৯

পদ্য - ৪০

মহান পথের প্রবাহ হল শুরুতে ফিরে আসা।
এ পথের গন্তব্য এগিয়ে যাওয়া।
পৃথিবী, আকাশ আর এর মাঝে সমস্ত কিছু বাস্তব জগত থেকে সৃষ্টি।
আর বাস্তব জগতের সৃষ্টি হয়েছে এ পথের অবাস্তবতা থেকে।


১৬ নভেম্বর ২০১৮ ২১:৫৯

পদ্য - ৩৯

মহান পথের তালে তাল মিলিয়ে
আকাশটা নীল আর কত বড়।
পৃথিবীটা কত সুন্দর আর বৈচিত্র্যময়।
সকল বাসিন্দাদের সুস্থির সম্মিলন।
সকলের নিজস্বতা ঠিক রেখে
সব সময় নিজেদের প্রকাশ করে চলে,
এক চলমান প্রক্রিয়া। 

যখন মানুষ এ পথকে নিজেদের মত করে সাজাতে যায়
তখনই নেমে আসে দুর্যোগ,
উন্মাদ হয়ে যায় প্রকৃতি, বদলে যায় আকাশ
পৃথিবীটা হয় অশান্ত, নষ্ট হয় ভারসাম্য
বিলুপ্ত হয় বাসিন্দারা।

জ্ঞানী প্রত্যেকটা বিষয় দুঃখ ভরা চোখে দেখে
কারণ সে জানে কেন এমন হচ্ছে।
তার নিরবিচ্ছিন্ন সাধনা হল সকলকে নিজের চেয়ে বেশি সম্মান করা
সে মহামূল্যবান পাথরের মত জ্বলজ্বলে আলো ছড়ায় না,
কিন্তু সে মহান পথ কে নিজের পথ হিসেবে দেখে,
আর পরিশ্রম করে যায় সাধারণ থেকে যেতে।


১১ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৭

সম্পূর্ন বই ডাউনলোড করতে..

তাও তে চিং (মহান পথ..), চীনের প্রসিদ্ধ ধর্ম তাওবাদ-ধর্ম কিংবা তাওবাদ দর্শনের সূচনা এখান থেকেই। বইয়ের মূল লেখক হিসেবে ধারণা করা হয় লাওজি/লাও...